বাংলার মঙ্গল কাব্য থেকে বাঙালির ব্যবসার বানিজ্যের কথা আমরা জানতে পারি। কিন্তু বোধহয় খ্রিস্টপূর্ব সময়কালের নিম্নগাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গের সমৃদ্ধ এক বন্দর ছিলো তিলপী । চন্দ্রকেতুগড়ের সমসাময়িক নদীমাতৃক নগর এটি। মৌর্য্য শুঙ্গ কুষাণ — এই তিন রাজত্বকালেই এখানে আন্তর্দেশীয় ও বহির্দেশীয় বানিজ্যিক কাজকর্ম চলত এখন থেকে এমন দাবি করা হয়েছে এই জেলার কিছু ইতিহাসবিদ। বিদ্যাধরী, মাতলা ও পিয়ালীর প্রবল জলস্রোতে এখানকার নদীঘাটগুলোতে পণ্য বোঝাই জাহাজ ও বড় নৌকা এসে ভিড়ত এক সময়। তিলপীতে ছিল বড় মুদ্রাশালা ছিলো। তৈরি হত কাস্ট কয়েন এখানে। আদি শৈব, মাতৃকা উপাসনা এবং জৈন বৌদ্ধ সকল ধর্মধারার এক বিমিশ্র ক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল এই জনপদ। আজও এখান থেকে নর্দান ব্লাক পলিশড্ পটারী, গ্রে পটারী, অন্যান্য মৃৎপাত্র, পোড়ামাটির হাতি, ঘোড়া, পুতুল, ইট ইত্যাদির মত প্রত্ন উপাদানগুলো পাওয়া যাচ্ছে সময় সময়। গ্রামবাসীরা কেউ কেউ সেকালের মুদ্রা পেয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগ এখানে খননকার্য চালিয়ে বহু মূল্যবান ঐতিহাসিক প্রত্ন-প্রমাণ উদ্ধার করার ফলে তিলপী গ্রাম ইতিহাসের পাতায় উঠে আসে কিছু দিনের মধ্যেই।#Tilpi_archaeoligicalsite