দীপাবলী মূলত পাঁচ দিনের উত্সব। এর আর এক নাম আছে— ধনাত্রয়োদশী বা ধনবত্রী ত্রয়োদশী। ‘ধন’ শব্দের মানে সম্পত্তি। ত্রয়োদশী শব্দের অর্থ হিন্দু ক্যালেন্ডারের ১৩তম দিন। দীপাবলীর সময় লক্ষ্মীপুজোর দিন দুই আগে ধনতেরাস হয়।
সাধারণত ধনতেরাস বা ধনত্রয়োদশী উদ্যাপিত দীপাবলি উৎসবের প্রথম দিনে।
অমান্ত ঐতিহ্য অনুসারে আশ্বিন বা পূর্ণিমান্ত ঐতিহ্য অনুসারে কার্তিকের কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে এই উৎসব পালিত হয়। দেবী ধন্বন্তরী-কে ধনতেরাস উপলক্ষেও পূজা করা হয়। তিনি আয়ুর্বেদের দেবতা যিনি মানুষে উন্নতির করেনও রোগযন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেন। ভারতীয় আয়ুর্বেদ, যোগ ও প্রাকৃতিক চিকিৎসা, ইউনানি, সিদ্ধ এবং হোমিওপ্যাথি মন্ত্রণালয় ধনতেরাসকে “জাতীয় আয়ুর্বেদ দিবস” হিসাবে পালন করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে।
লোক গাঁথা অনুযায়ী,রাজা হিমের ষোল বছর বয়সী পুত্রের রাশিফল তার বিয়ের চতুর্থ দিনে সাপের কামড়ে তার মৃত্যুর পূর্বাভাস ছিলো। তাই সেইদিনে তার নববধূ তাকে ঘুমাতে দেয়নি। তিনি তার সমস্ত অলঙ্কার ও বহু সোনা ও রৌপ্য মুদ্রা তাদের ঘরের দরজায় একটি স্তূপে করে রেখেছিলেন ও অনেকগুলি প্রদীপ জ্বালিয়েছিলেন। যম যখন সর্পের ছদ্মবেশে রাজকুমারের দোরগোড়ায় উপস্থিত হতে, প্রদীপ আর অলঙ্কারের তেজে তাঁর চোখ ঝলসে তিনি অন্ধ হয়ে গেলেন। যম রাজকুমারের কক্ষে প্রবেশ করতে পারেননি। এইভাবে, যুবরাজ কে নববধূর বুদ্ধির নৈপুণ্যে মৃত্যুর কবল থেকে রক্ষা করেছিল।
বাড়ির মহিলারা যমকে মহিমান্বিত করে রাতভর মাটির প্রদীপ জ্বালাতেন বলে এই প্রথাটি যমদীপদান নামে পরিচিত হয়।
একসময় দুর্বাশা মুনির অভিশাপে স্বর্গ হয় লক্ষ্মীহীন। রাক্ষসদের সঙ্গে লড়াই করে সমুদ্রমন্থনের পর ধনতেরাসেই দেবতারা ফিরে পান দেবী লক্ষ্মীকে। হারিয়ে যাওয়া লক্ষ্মীকে ফিরিয়ে আনার উপাসনাই হচ্ছে ধনতেরাস। ধনতেরাসে শ্রীলক্ষ্মীর আরাধনার মাধ্যমে সূচনা হয় দীপাবলী উৎসবের। তবে সমুদ্র মন্থন সময় ধনন্তরী উঠেছিলেন।তখন ধন্বন্তরি অমৃতপাত্র হস্তে সমুদ্র থেকে উদ্ভূত হয়েছিলেন।
বাংলার দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ধনন্তরী মা আছেন তিনি আর ধনন্তরী এক নন।ধনন্তরী আসলে বিষ্ণুর এক অবতার।
সোনা রূপা কেনা গল্প যুক্ত হয়েছে ব্যবসায়ী স্বার্থে।