মেদিনীপুর মানেশিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি কিংবা সংগ্রামের পীঠস্থান । মেদিনীপুর সবকিছুতেই স্বাতন্ত্র্যের সাক্ষর রাখতে অভ্যস্ত। ধর্মীয় রীতি ও ঐতিহ্য মেনে এখানে উদযাপিত হয় ‘পেটাই পরোটা উৎসব’। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবংয়ের ৬ নং চাউলকুঁড়ি অঞ্চলের নেধুয়াতে শতবর্ষ প্রাচীন ‘উত্তরপল্লী হরিমন্দির উৎসব’।উত্তরপল্লী হরিমন্দির উৎসব কেন্দ্র করে গ্রামবাসীদের উদ্যোগে আয়োজিত হয়ে আসছে পেটাই পরোটা উৎসব।
এই জনপ্রিয় পেটাই পরোটা উৎসব এ বছর ২০ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার পালিত হয়। আসলে ভীম একাদশীর দিনও সাড়ম্বরে পালিত হয় এই পেটাই পরোটা উৎসব ।
লোক কথা অনুযায়ী হারু বৈরাগী নেধুয়া গ্রামের এই হরি মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা । ২৫০ বছরেরও বেশি পুরাতন এই মন্দির। হারু বৈরাগী গ্রামবাসীদের মহামারীর হাত থেকে রক্ষা করতে এবং গ্রামে গ্রামে হরিনাম সংকীর্তন প্রচার করতে এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করেন ।এক সময় হারু বৈরাগী তীর্থে চলে গিয়েছিলেন।তার কয়েক বছর পর হঠাৎ তীর্থ থেকে ফিরে এসে নিজের হাতে মাটি দিয়ে ইট তৈরি করেন তিনি, সেই ইঁটকে পুড়িয়ে প্রতিষ্ঠা করেন এই মন্দির। তারপর থেকে প্রতি বছর ভীম একাদশীতে হরি মন্দিরে পুজো হয়ে আসছে। এই পুজো একাদশীতে হয় বলে এলাকার মানুষ অন্নভোগ বা ওই জাতীয় প্রসাদ খাননা ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী; সেজন্যই তাদের উদ্যোগে এই পেটাই পরোটা উৎসবের প্রচলিত হয়েছে। তবে মন্দির প্রাঙ্গণে এখন দুই মেদিনীপুরের সবং, পটাশপুর, ভগবানপুর, নারায়ণগড়, পিংলা, ময়না সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ ছুটে আসেন আর মেতে ওঠেন পরোটা উৎসবে ।