এক সময়ের গ্রাম বাংলার মানুষের ভীষণ পছন্দের তরজা গান। আগে বাংলা জুড়ে জেলায় জেলায় তরজা গান, কবি গানের রেওয়াজ ছিল বেশ। সেই সময় এলাকার যে কোনও পুজো বা অনুষ্ঠান মানেই তরজা গান হবেই। গানের কলিতে, রসিকতা, সাধারণ জ্ঞান , হাস্যকর বিষয়কে নিয়েই বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে ‘তরজা লড়াই ‘ হয়। সাধারণত নানা বিষয়কে নিয়ে এক শিল্পী অন্য শিল্পীর দিকে কিছু প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে থাকেন। এভাবেই একজন আরেক জনকে একের পর এক প্রশ্ন করবেন। আর সেই সমস্ত প্রশ্নের যথা যথা উত্তর দেন অন্য শিল্পী। দুই শিল্পী একে ওপরের প্রশ্ন উত্তর পর্বের মধ্যেই আবার কখনো কখনো দর্শক আসনে থেকেও বহু প্রশ্ন রাখা হয় শিল্পীদের। সেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর বা যুক্তি দিয়ে থাকেন এই শিল্পীরা। মঞ্চে দুই শিল্পী ছাড়াও থাকেন এক জন ঢোল বাদক এবং একজন কাঁসি বাদক।শিল্পীদের কথার তালে তালে কাঁসি বা ঢোলের বাজনা বেজে ওঠে। মঞ্চে দর্শকদের সামনে দুই শিল্পীর কথা ও গানের লড়াই চলে। ঢুলি মঞ্চে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে বিভিন্ন ভাব ভঙ্গিমায় দর্শকদের মনোরঞ্জন করেন। এই তরজা গানে কলা মূলো উচ্ছে ঝিঙে পটল বিভিন্ন ফল মূল মঞ্চে দড়ি দিয়ে ঝোলানো হয় উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে কখনো কখনো। সেই সমস্ত ঝোলানো জিনিস দেখে প্রশ্ন-উত্তর শ্লোকে মধ্যে দিয়ে দর্শকদের আনন্দ দিয়ে থাকেন এই তরজা শিল্পীরা।শান্তিপুরে জনতা সংঘেরসরস্বতী পুজোর মঞ্চে ১৫|০২|২০২৪ তরজাগান করতে হাজির হয়েছিলেন উস্তি, নৈনানের তরজা সম্রাট সুশীল নস্কর, এবং ,দ: চব্বিশ পরগনার গঙ্গাদুয়ারা বেতার শিল্পী মদন রায়, বায়েন হিসাবে ছিলাম ঢোলকে জয়নগরের স্বপন ঘরামী, ও কাঁশিতে ছিলেন রবিন হালদার। ছবি ও তথ্য – লোক সংস্কৃতি গবেষক দেবপ্রসাদ পেয়াদাশিল্পদের যোগাযোগ যোগাযোগ করতে চাইলে কথা বলুন মদন রায় সাথে- 9051946530