চাউমিন কালির কথা শুনেছেন, চানাচুর কালির কথা শুনেছেন, আজ শুনুন ময়দা কালির কথা। আসলে ময়দা একটি গ্রামের নাম।আদিগঙ্গার তীরবর্তী অতি প্রাচীন ও বর্ধিষ্ণু জনপদ ময়দা। গ্রামদটি জয়নগর থানার অধীন। ১৮৬১ সালে ময়দা থানাটি জয়নগর থানার অন্তর্ভুক্ত হয়।
ময়দা গ্রামটির উৎপত্তি কিভাবে?
‘শিবনাথ শাস্ত্রী ‘ মহাশয় উল্লেখ করেন – ‘ পর্তুগিজ ভাষায় বন্দর বা পোতাশ্রয়কে ‘মেডিয়া’ বলে। ‘মেডিয়া ‘ শব্দ থেকে ময়দা শব্দটি উচ্চারিত হয়েছে। আবার কেউ বলেন ,রাবণরাজার শ্বশুরমশাই তথা ব্রহ্মার বরপ্রাপ্ত স্থপতি ময়দানবের বাস ছিল নাকি এখানেই। তাঁর নামেই এই অঞ্চলের নাম ময়দা।
পর্তুগিজরা যখন আমাদের দেশে আসে, তখন তাদের যাত্রা বিবরণে ময়দা নামটি পাওয়া যায়। ময়দা গ্রামটি প্রাচীন কালে পোতাশ্রয় হিসাবে গড়ে ওঠেছিলো। সম্ভবত এখানে সুন্দরবনের মধু, মোম, কাঠের ব্যবসা চলত বলে অনেকে মনে করেন। এইসব বিবরণ থেকে বোঝা যায় ময়দা একটি প্রাচীন বন্দরভিত্তিক, নগরকেন্দ্রিক ও ভালো ব্যবসা, ব্যণিজ্যের বিশেষ কেন্দ্র ছিল। এর প্রমাণ স্বরূপ হল এই গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় চাষের জমিতে এবং জলাভূমিতে খোঁড়াখুঁড়ির ফলে ভগ্ন জাহাজের অংশ, নোঙরের ফলা প্রভৃতি পাওয়া গিয়েছে।
ময়দা গ্রামের পাশের বহড়ু । রায়মঙ্গল কাব্যে উল্লেখ আছে ‘বড়ুক্ষেত্র’-এর। মধ্যযুগের ‘বড়ুক্ষেত্র’ আজকের বহড়ু গ্রাম ও বহড়ুক্ষেত্র গ্রাম পঞ্চায়েত। ঊনবিংশ শতকের প্রথম ভাগে জনৈক নন্দকুমার বসু ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির লবণ বিভাগের দেওয়ান নিযুক্ত হন ও বহড়ুর জমিদারী লাভ করেন। তিনি কিছুকাল রাজপুতানার জয়পুর রাজ্যেরও দেওয়ান ছিলেন। সেই সময় তিনি বৃন্দাবনের তিন প্রধান দেবতা গোবিন্দ, গোপীনাথ ও মদনমোহনের জন্য তিনটি মন্দির নির্মাণ করার অনুমতি চান জয়পুরের রাজার কাছে। জয়পুরের রাজার অনুমতি পেয়ে ১৮১৯ থেকে ১৮২১ সালের মধ্যে তিনি জয়পুরে তিনটি মন্দির নির্মাণ করেন। এরপর তিনি স্থির করেন যে তার বৃদ্ধা মায়ের জন্য বহড়ুতেই মথুরা-বৃন্দাবন স্থাপন করবেন। সেই মত তিনি জয়পুর রাজ্যের চুনার থেকে পাথর ও স্থপতি আনিয়ে বহড়ুতে শ্যামসুন্দরের মন্দির নির্মাণ করেন। ১৮২৫ সালে মন্দিরের গাত্রে দেওয়ালচিত্র অঙ্কন করেন বর্ধমান জেলার দাঁইহাটের শিল্পী গঙ্গারাম ভাস্কর। পরবর্তীকালে বসু পরিবার বহড়ুতে পাঁচটি শিব মন্দির নির্মাণ করেন।আরো একটি বিষয় নামে জয়নগরের মোয়া হলেও এই মোয়ার আঁতুড়ঘর বহড়ু গ্রাম।
১৭৫৭ সালে মিজাফর ২৪ টি পরগনা সমবায় গঠিত রাজ্যটি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কাছে দান করেন। এই প্রাচীন ২৪ টি পরগনার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল ময়দা গ্রামটি। অতএব অষ্টাদশ শতাব্দীতে ‘ময়দা’ একটি পরগনায় রূপে পরিচিত ছিল।
তবে ময়দা কালীবাড়ি হল প্রসিদ্ধ ও জাগ্রতা দেবী। এইদেবীর মাহাত্ম্য সম্পর্কে গ্রামে নানা কিংবদন্তি প্রচলিত আছে ।
বরিষার সাবর্ণ রায়চৌধুরীর পূর্ব পুরুষ ছিলেন লক্ষ্মীকান্ত ব্রহ্মচারী। মহারাজ মানসিংহের থেকে জমিদারী পেয়ে একবার লােক লশকর, একাধিক নৌকা ও বজরা নিয়ে বরিষা থেকে আদি গঙ্গা পথে সাগরদ্বীপ রওনা হয়েছিলেন। দক্ষিণ ২৪ পরগণার নদী পথে যেতে যেতে, তিনি নিবিড় ঘন জঙ্গলে আচমকা এক মেয়েকে একটি বকুল গাছের ডাল ধরে খেলা করছে। সেই সময় ঐ জঙ্গলে বিভিন্ন হিংস্র জানােয়ার বাস করত। লক্ষ্মীকান্তবাবু দয়া পরবশ হয়ে তখনি লােকজনকে আদেশ করেন মেয়েটিকে উদ্ধার করতে। কিন্তু লােকজন পাড়ে ওঠার আগেই সে অদৃশ্য হয়ে যায়। অনেক খোঁজার পরও মেয়েটির সন্ধান না পেয়ে তারা নৌকায় ফিরে আসতেই ,মেয়েটিকে আবারও গাছের ডাল ধরে ঝুলতে দেখা যায়। আবার মেয়েটিকে উদ্ধার করতে গেলে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে।
এদিকে সন্ধ্যাও হয়ে আসায় নিরুপায় হয়ে জমিদার ব্রহ্মচারী তার বজরা নিয়ে যায়। সেই দিন প্রায় আড়াই মাইল দূরে সে রাত্রের মত অপেক্ষা করতে হল তাদের। কারণ সন্ধ্যার পর জলপথে পর্তুগিজ দস্যু ও খাড়ির কাছাকাছি জায়গায় হিংস্র প্রানীর ভয় ছিল। জমিদার মহাশয়ের মনে কিন্তু ওই মেয়েটির ঘটনা বিস্ময় ও কৌতুহল তৈরি হয়েছিল। তিনি স্থানীয় মাঝি-মাল্লাদের ঐ ঘটনা বলতে তারা জানাল ” বাবু ও মানবী নয়। আমরাও অনেকেই দেখেছি, আপনার মত আমাদেরও একই অভিজ্ঞতা হয়েছে। চেষ্টা নাকরাই ভাল। বিপদ হতে পারে।”
জমিদার লক্ষ্মীকান্তবাবু রাতে স্বপ্নের মধ্যে দেখতে পান সেই মেয়েটিকে। মেয়েটি তাকে বলছে ” তুই আমাকে চেষ্টা করেও ধরতে পারবি না। আমি হলাম ময় দানবের আরাধ্যা দক্ষিণাকালী। ওই জঙ্গলের মধ্যে অবস্থিত বকুল গাছের নীচে মাটির স্তুপের মধ্যে আমায় পাবি চক্র অঙ্কিত শীলা রূপে।আমি পাতালভেদী। ঐ জঙ্গল পরিস্কার করে মন্দির নির্মাণ করে । আমার পুজার প্রতিষ্ঠা কর, “। এরপর জমিদার লক্ষ্মীকান্ত ব্রহ্মচারী ফিরে গিয়ে ওই নির্দিষ্ট স্থানে মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন ।
সেই বকুল গাছটি এখনও বিদ্যমান, যাতে ফুল হয়, কিন্তু ফল হয় না। সবচেয়ে বিরল ঘটনা হল ময়দা গ্রামে ঐ মন্দির ছাড়া আর কোন কালী পূজা হয়না।।
এখানে দেবীর প্রতীক ময়দানব, অর্থাৎ মহী- রাবণ পাতালের ভদ্রকালী রূপে পূজিত হতেন। মন্দিরটি দক্ষিণামুখী আটচালা বিশিষ্ট মধ্যমাকৃতি, মন্দিরের অভ্যন্তরে চতুষ্কোণ বাঁধানো একটি বেদীর উপর দেবীর প্রতীক স্বরূপ সম্পূর্ণ সিঁন্দুরালিপ্ত একটি শিলাকে দক্ষিণা কালীকার ধ্যানে পুজা হয়। এই শিলাখন্ডটি মন্দিরের আশপাশে থেকে মাটি খুঁড়ে পাওয়া যায়। মন্দিরের কালীকে ব্রহ্মার বর প্রাপ্ত তথা লঙ্কেশ্বর ‘রাবণের’ শ্বশুর ময়দানবের পরমারাধ্যা দেবী ময়দানবেশ্বরী ও পাতালভেদী কালী নামে পরিচিত। কথিত আছে,যশোহররাজ প্রতাপাদিত্যের রাজত্বকালে ময়দার আদিগঙ্গায় জাহাজ চলাচল করত। তখন ময়দা ছিল এক বন্দর। কথিত আছে, জাহাজের কাঠ দিয়েই নাকি ময়দা কালীমন্দিরের দরজা বানানো হয়েছে। দেবীর গর্ভমন্দিরটি মাটি থেকে বেশ কিছুটা নীচে।একটি চতুষ্কোণ গহ্বরে বেদির উপরে দেবীর প্রতীক স্বরূপ স্থাপিত আছে একটি সিঁদুরে রাঙানো শিলা। এই শিলাতেই ত্রিনয়ন বসিয়ে দক্ষিণাকালীর ধ্যানে প্রত্যহ পূজা করা হয়।বলা হয়ে থাকে, শিলারূপী এই কালী স্বয়ম্ভু। পাতাল থেকে উত্থিত।তাই দেবীর নাম পাতালভেদী কালী।
দেবীর প্রস্তরীভূত অঙ্গে এবং দেবীযন্ত্রে অশোক চক্র বিদ্যমান
মন্দিরের প্রবেশদ্বারে পথে ঢুকে চোখে পড়ল যূপকাষ্ঠ অর্থাৎ বলি দেওয়ার জায়গা । এর ঠিক উপরে দিকে তাকালে চোখে পড়বে মন্দিরের পরিচিতির ফলক। ফলকে লিখিত আছে – ‘ত্রেতাযুগের ময়দাদানবের পরমারাধ্যা দেবী’ , ‘ময়দানবেশ্বরী’
ময়দা পাতালভেদী দক্ষিণাকালী, ময়দা, দঃ ২৪ পরগনা ‘।
মন্দিরে পিছনের দিকে পশ্চিম উত্তর কোণে বিশাল কান্ড নিয়ে অবস্থিত একটি বকুলগাছ আছে। এই গাছের নীচে ‘ভবানী পাঠক ‘ পঞ্চমুন্ডির আসন ও মূর্তি আছে।
#তবে_কি_ভবানী_পাঠকের_আদি_নিবাস_ময়দাকালীবাড়ি ?
দেবীশঙ্কর মিদ্যার একটি প্রবন্ধের অংশ তুলে ধরি
” “ব্রাহ্মণ বলিল, ‘ তোমার সঙ্গে আমি প্রতারণা করিব না । – আমাকে ব্রাহ্মণ পণ্ডিত মনে কর, আর যাই মনে কর, আমি ডাকাইতের সর্দার । আমার নাম — ভবানী পাঠক ।’ “
বঙ্কিমচন্দ্রের দেবী চৌধুরাণী উপন্যাসের বৈপ্লবিক চরিত্র ভবানী পাঠক । একদা পরাধীন ভারতবর্ষের ইংরেজ সরকার আর বরেন্দ্রভূমির অত্যাচারী জমিদাররা তাঁর ভয়ে তটস্থ থাকতেন । তাঁর বৈপ্লবিক কর্মযজ্ঞ আর ব্যক্তি-পরিচয় নানা উপকথার আড়ালে আজও কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে রয়েছে । সন্ন্যাসী বিদ্রোহের এই মহান নেতার ইতিহাসের পাতায়ও তেমন ঠাঁই নেই । কে ছিলেন এই ভবানী পাঠক ? কোথায় ছিল তাঁর আদি নিবাস ? বাংলার নানা জায়গায় তাঁর পূজিত কালীমৃর্তির কথা আমরা লোকবিশ্বাসে জানতে পারি কেবল । তার বেশি নয় । কিন্তু কোর্টের একটি তদন্ত কমিশনের রিপোর্টে যে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছিল তা থেকে জানা যায় , তিনি ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা তথা সুন্দরবনের ভূমিপুত্র ।
সব থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য হল , এই পাতালভেদী কালীর পূজক ছিলেন পাঠক বংশ । এই বংশের অন্যতম পুরুষ হলেন , ভবানী পাঠক । তিনি স্বয়ং এই পাতালভেদী কালীর পূজা করতেন। এই মন্দিরের পিছনে বকুল গাছের তলায় তিনি তৈরি করেছিলেন পঞ্চমুন্ডির আসন । এখানে তিনি সাধনা করতেন । এখনও সেই বকুল গাছ ও পঞ্চমুন্ডির আসন অটুট রয়েছে । ভক্তরা সেই আসনের উপরে ভবানী পাঠকের মূর্তি বসিয়েছে । দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নিজেকে নিয়োজিত করার জন্য ভবানী পাঠক সংসার ত্যাগ করে বেরিয়ে যান । তবে যাওয়ার আগে তিনি তাঁর ভাই মহাদেব পাঠকের হাতে পাতালভেদী কালীর ভার দিয়ে যান । বর্তমানে এই মন্দিরের অন্যতম সেবাইতেরা হলেন মহাদেব পাঠকের বংশধরগণ ।
মহাদেব পাঠক এক সময় ময়দা ত্যাগ করে বহড়ুতে বাস করতে আসেন । তাঁর একমাত্র কন্যার এক বংশধর ছিলেন শ্রী কুমার নাথ মুখোপাধ্যায় । বহড়ুতে তাঁদের একটি অন্য দেবোত্তর সম্পত্তির মামলায় কোর্ট যে তদন্ত করেছিল , তার নথি থেকে উঠে আসে মহাদেব পাঠকের সঙ্গে ভবানী পাঠকের পরিচয় এবং তাঁদের আদি নিবাসের কথা । তা এখানে উল্লেখিত হলঃ Enquiry U/ S 6 ( i ) (i ) read with sec (17 ) & 44 ( 29 ) of the W.B.F.A Act 1955 in respect of Debottar Shree Shree Dakshina Kalimata Thakurani with sebait Shree Kumarnath Mukhapadhyaya , son of late Bholanath Mukhapadhyaya of vill & P.O Baharu , P.S. Joynagar , Dist 24 Parganas (Debottar Case NO 48/65 24 Parganas ).
This is Debottar , the dadicated propertis located in the district of the 24 Parganas.
The deity shree shree Dakshina kalimata is the family deity of the present sebait shri Kumarnath Mukhopadhyaya installed in a pacca temple by his forefather more than 100 years ago. The family history of the present sebait goes of far back as the time of late Mahadev Pathak , brother of late Bhabani Pathak of Bankim Chandra Chattopadhyaya’s DEBI CHAUDHURANI fame . The present sabait family is that of the late grandson (daughter son ) of the late Mahadev Pathak , having inherited his property by way of succession . This family subsequently shifted from village Maida where the ancestral home of late Mahadev Pathak was situated, to the present address in Baharu, even before the life-time of late Dayaram Bachaspati from whom a genealogical chart has been furnished .
ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র বারুইপুর এবং জয়নগরে বেশ কয়েক বছর অতিবাহিত করেন । এই সময় তিনি ভবানী পাঠকের কথা শোনেন । ভবানী পাঠক নিম্ন বঙ্গের ভূমিপুত্র হলেও তাঁর বৈপ্লবিক কর্মযজ্ঞ পরিচালিত হয়েছিল বরেন্দ্রভূমিতে । কিন্তু তাঁর আদি নিবাস আমাদের দক্ষিণ ২৪ পরগনার ময়দা আর তাঁর পূজিত কালী হলেন ময়দার পাতালভেদী কালী ।”
তবে মন্দিরের সামনে নাটমন্দির অবস্থিত। পূর্ব দিকে ভোগ রন্ধনের ঘর, পশ্চিম দিকে একটি পুকুর রয়েছে। এটি নাম ‘কালীকুন্ড’ নামে পরিচিত। এটিই হল আদিগঙ্গা মজা অংশ। কালীকুন্ডে শুদ্ধচিত্তে স্নান করে পুজা প্রার্থনা করলে কোন বন্ধ্যানারী ও মৃত বৎস্যা জননী সন্তান লাভ করেন। এছাড়া মামলা মোকদ্দমা জয়লাভ, ছেলের চাকুরী, মেয়ের বিয়ে ও সংসারে উন্নতি সাধন ইত্যাদি বিষয়ে মায়ের কাছে মনস্কামনা করে পুজা দেন ভক্তরা। মন্দিরে কোন মূর্তি পুজা হয় না। মূর্তি নিয়ে মন্দিরের ঢোকা নিষিদ্ধ। লোকশ্রুতি অনুযায়ী মায়ের দৈবাদেশ এই ময়দা সংলগ্ন গ্রামে গুলিতে এই মন্দিরে ঢাকের আওয়াজ যতদূর যায়, ততদূর পর্যন্ত মূর্তি পুজো সম্পন্ন ভাবে নিষিদ্ধ।
তবে ময়দাকালীবাড়ি মন্দিরটি বড়িষা সাবর্ণ রায়চৌধুরী দের দ্বারা নির্মিত । ১১৭৬ বঙ্গাব্দে ‘গঙ্গাধর চৌধুরী ‘ এই মন্দিরটি নির্মাণ করেন। মন্দিরের সম্পত্তি চৌধুরী তাদের মাকে উৎসর্গ করেছেন। প্রতি কার্ত্তিক অমাবস্যায় দীপাবলী পুজোয় এই জমিদারদের নাম সংকল্প করে জোড়া পাঠাবলী হয়। সারা বছর এই মন্দিরে উৎসব লেগে থাকে। সপ্তাহে প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবারে মানসিকারী ভক্তদের সমাগম হতে দেখা যায়। এছাড়া চৈত্র মাসে নীল পুজো, গোষ্ট মেলা, চৈত্র গাজন, ভাদ্রে তালনবমী আষাঢ় মাসে বিপদতারণী, পয়লা মাঘে গঙ্গাস্নান মেলা উপলক্ষে চারদিন ব্যাপী বিশাল মেলা বসে।