কলমে : হারাধন ভট্টাচার্য্য ।
——————————————————————- রবীন্দ্র স্নেহধন্য বিশ্ব বিখ্যাত ভাষাতাত্ত্বিক বহুভাষাবিদ জাতীয় অধ্যাপক সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়ের বিষয়ে এই ছোট্ট নিবন্ধন লিখতে গিয়ে বলি। আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান বলে মনে করি এই জন্য যে, আমি তাঁকে দেখেছি। তাঁর কলকাতার বাড়ি “সুধর্মা ” তে। আমার পিতার সাথে বার তিনেক তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলাম। আমার পিতাকে তিনি পুত্রবৎ স্নেহ করতেন। ১৯৭২ সালে যখন পশ্চিমবঙ্গ উর্দু একাডেমী প্রস্তুতির কথা ভাবা হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে। তখন সেই একাডেমীর প্রস্তুতি কমিটির সভাপতি ছিলেন তিনি এবং আমার পিতা ছিলেন সেই প্রস্তুতি কমিটির সেক্রেটারি । সুনীতি কুমারের অনুরোধে তাঁর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাথে বিশ্ব ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা বিখ্যাত বই “পথ চলতি ” উর্দুতে অনুবাদ করেছিলেন আমার পিতা ।তার নাম ছিল” বিখরে ওরখ ” । সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়ের “ভাষাচার্য ” উপাধি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরেরই দেওয়া। ঠিক তেমনি একটি বিষয়ের উল্লেখ করা এখানে অপ্রাসঙ্গিক হবে বলে মনে করিনা । আমার পিতার ডিলিট পাওয়ার আগেই একদিন সুনীতি কুমার তাঁকে বলেন “কিরে শান্তি তুই এখন পর্যন্ত ডক্টরেট উপাধি পাসনি, যা আমি তোকে ডক্টের উপাধি দিলাম আজ থেকে”।
সত্যি ১৯৭৫ সালে ডিলিট পাওয়ার আগে পর্যন্ত সুনীতি কুমার ওনাকে যত চিঠি লিখেছেন সব চিঠিতে তিনি ডক্টর শান্তি রঞ্জন বলে উল্লেখ করতেন। এই মহাজ্ঞানী পন্ডিতের উর্দু ভাষার প্রতি ভালোবাসা নিয়ে একটি ছোট বইও লিখেছেন শান্তি রঞ্জন ভট্টাচার্য্য বইটির নাম ” উর্দু প্রেমী সুনীতি কুমার”। তাঁকে নিয়ে আমার স্মরণে অনেক ঘটনা আছে যা লিখলে এই লেখা অনেক বড়ো হয়ে যাবে। তা অন্য কোন সময়ে লেখা যাবে। আজ এই পর্যন্ত।