google-site-verification=r3lYzE3jI5XC8igrXRKdm9HAWALrzmx6coPmyeHNww4
Spread the love

দীপাবলি আসলে পাঁচ দিনের উৎসব । দীপাবলি উৎসবের দ্বিতীয় দিন। এটি কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে । পশ্চিম ও দক্ষিণ ভারতে এই তিথিটি নরক চতুর্দশী নামেও পরিচিত। ছোট দিওয়ালি, রূপ চৌদাস, নরকা চৌদাস, রূপ চতুর্দশী বা নরক পূজা নামেও পরিচিত।
বাংলায় এই দিনে চোদ্দশাক খাওয়া এবং চোদ্দ প্রদীপ প্রজ্বলনের রীতি প্রচলিত আছে৷ আসলে হিন্দু ধর্ম আকাশ থেকে ভেসে আসা বানী( গাল গল্প) দিয়ে রচিত ধর্ম গ্রন্থ নিয়ন্ত্রিত ধর্ম নয় । এটি একটি সমাজ বিজ্ঞান।এই সময় ঋতু পরিবর্তন হয় তাই এই শাক সবজি খাওয়া প্রয়োজন এটি আন্টব্যাটিক কাজ করে।এই তিথিতে চোদ্দ প্রকার শাক খাওয়ার চল রয়েছে। পণ্ডিত রঘুনন্দনের মতে সেগুলি হল— ওল, কেউ, বেতো, কালকাসুন্দে, নিমপাতা, জয়ন্তী, সরিষা, শাঞ্চে, হিলঞ্চ, পলতা, শুলফা, গুলঞ্চ, ঘেঁটু, শুশুনি । যদিও স্থানবিশেষে এই শাকের নাম পরিবর্তিত হতে পারে। আর ধনতোরাস উৎসব আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার দেবতাকে স্মরণ করেই হয়।
এই দিনে কৃষ্ণ ও সত্যভামা নরকাসুরকে বধ করেছিলেন।দেবী কালী চামুণ্ডা রূপে ভূত এবং প্রেতাত্মা সঙ্গে নিয়ে ভক্তের বাড়িতে আসেন অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটাতে। কারওর মতে এই তিথিতে দৈত্যরাজ বলি পৃথিবীতে পূজা নিতে আসেন, সঙ্গে আসে নানা অশুভ শক্তি, অর্থাৎ ভূত এবং প্রেতাত্মাদের। অনেকে আবার মনে করেন মহালয়া পূর্বপুরুষের আত্মা মর্ত্যলোকে আসেন তাঁরা এই তিথিতে বিদ্যা। তবে সব ক্ষেত্রেই অশুভ শক্তির আগমনের উল্লেখ পাওয়া যায়। এই অশুভ শক্তির থেকে মুক্তির উদ্দেশ্যেই জ্বালানো হয় চোদ্দ প্রদীপ। বিশ্বাস করা হয় এই চোদ্দ প্রদীপের আলো সংসারে সকল প্রকার অশুভ শক্তির অবসান ঘটায়। অশুভ শক্তি বিনাশের উদ্দেশ্যে স্নান করে এই চোদ্দশাক খেয়ে চোদ্দ প্রদীপ জ্বালানোই হল ভূত চতুর্দশীর রীতি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights