শিবের প্রিয় আকন্দ ফুল সবাই জানেন। কিন্তু এর কি গুন আছে জানেন?আকন্দ ফুল শুধ মাত্র জুলাই ফুল নয়। এর বৈজ্ঞানিক নাম)।
Calotropis gigantia । শিব রাত্রি উপলক্ষে কিছু তথ্য :দিই এর সম্পর্ক।
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শাস্ত্রে এই ফুল আর এর পাতা ও এর পাতার বোঁটার থেকে নির্গত সাদা দুধের মতো তরলে থাকে নানা অসুস্থতা নিরাময়ের জন্য ঔষৌধি গুন।নানান্ ধরনের ওষুধ তৈরি করা হয়ে থাকে এই অকন্দ ফুল গাছ থেকে।
লিভারের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য, কৃমি, বদহজম-এর মতো সমস্যা দূর করার ওষুধ তৈরি করতে কাজে লাগনো হয় এই গাছকে ওষুধ হিসেবে আকন্দের ভেষজ ব্যবহার কথা আয়ুর্বেদ ও ইউনানি চিকিৎসাতেও বলা হয়েছে। এই গাছের , পাতা,ফুল, মূল ও কষ ব্যবহার করা হয়। বায়ুনাশক, উদ্দীপক, পাচক, পাকস্থলীর ব্যথা নিবারক, বিষনাশক, ফোলা নিবারক। প্লীহা, দাদ, শোথ, অর্শ, ক্রিমি ও শ্বাসকষ্টে উপকারী। ব্রণ, কোষ্ঠকাঠিন্য, বুকে কফ, খোসপাচড়া, একজিমায় আকন্দের পাতা, কাণ্ড ও মূলের ব্যবহার করা হয় । ফুল বহুমূত্ররোগ এর জন্যে বিশেষ উপকারী । শরীরে খোস পাচড়া হলে আকন্দ আঠার সাথে চার গুণ সরিষার তেল মিশিয়ে গরম করে। সেই গরম তেলের সাথে কাঁচা হলুদের রস মিশিয়ে খোস পাচড়ায় ভালোভাবে মেখে নিলে তার দ্রুত ভালো হয়ে যাবে। আবার ঠান্ডা লেগে বুকে সর্দি লেগে যায় তাহলে প্রথমে বুকে পুরোনো ঘি ঢালে , এর উপর আকন্দ পাতা গরম করে ছেকা দিলে আরাম পাওয়া যায়। খেলতে গিয়ে বা পড়ে গিয়ে পা মোচকে গেলেও আকন্দ পাতা গরম করে ব্যাথা স্থানে ছেকা দিলে ,ব্যাথা কমে যায়। বিষাক্ত কিছু যেমন বিছে, কাঠ পিপড়া ইত্যাদিতে কামড়ালে আকন্দ পাতার রস লাগালে বিষ করিয়া কমে যায়। মুখে ব্রণ হলে আকন্দ পাতা ভিজিয়ে ব্রণের উপর চেপে রেখে দিলে ব্রণ ফেটে যায়। শরীরের কোন স্থানে দূষিত ক্ষত হলে সেই স্থানটিতে পাতা সিদ্ধ জল দিয়ে ধুয়ে দিলে। সেখান পুঁজ হবে না। আকন্দ পাতার সোজা দিকে সরিষার তেল মাখিয়ে পেটের উপর ছ্যাকা দিলে পেট কামড়ানো সেরে যায়। কোন স্থান ফুলে গেলে সেই স্থানে আকন্দ পাতা বেধে রাখলে ফুলা কমে যায়। আকন্দ পাতার মূল গুড়া করে ২ গ্রাম করে প্রতিদিন খেলে ক্ষধা বৃদ্ধি পায়। আকন্দ এর পোড়া ছাই পানিসহ পান করলে সাথে সাথে উপকার পাওয়া যায়
আবার জ্যোতিষশাস্ত্রে উল্লেখ আছে , যদি প্রতিদিন কোনো ব্যক্তি ভগবান শিবকে যদি আকন্দ ফুল নিবেদন করেন, তাহ’লে, ভগবান শিব খুশি হন এবং সেই ব্যক্তির সকল ইচ্ছা পূরণ করেন।