মহলটির পোশাকী নাম ‘ঝারোখা’। ওস্তাদ লাল চাঁদ মহলের নকশা তৈরি করেছিলেন । এই রাজা নিজে ছিলেন শ্রীকৃষ্ণের ভক্ত। তাই লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বাইরে থেকে মহলটির চেহারা অনেকটা শ্রীকৃষ্ণের চূড়ার মতো লাগে।হ্যা আমি হাওয়া মহলের কথা বলছি। অনেকেই জানেন না এটি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু সিড়ি বিহীন ও ভিত-বিহীন ইমারত হাওয়া মহল।হাওয়া মহল ভারতের জয়পুরের লাল ও গোলাপি বেলে পাথরে নির্মিত একটি রাজপুত এক ঐতিহ্য বাহী স্থাপত্য।এই পিরামিড আকৃতির পাঁচতলা উচ্চতার প্রাসাদভবনটি , ১৭৯৯ সালে মহারাজা সাওয়াই প্রতাপ সিং নির্মান করেছিলেন। এই ভবনটির বহিরের দিকে ৯৫৩টি ছোট দরজা আছে, একসাথে মৌচাকের মত দেখতে এটি।বাইরে থেকে দেখলে এটি প্রাসাদেএ সামনের অংশ মনে হলেও বাস্তবিক এটি কাঠামোর পিছনের অংশ। সিড়ি – বিহীন এই উঁচু ইমারতে উঠার জন্য ঢালু পথ রয়েছে।অসাধারণ স্থাপত্যের নজির, জয়পুরের পাঁচতলা হাওয়া মহলে একটিও সিঁড়ি নেই !লাল এবং গোলাপি বেলেপাথর দ্বারা নির্মিত রাজস্থানের জয়পুরের ঐতিহ্য এই হাওয়া মহলের গোলাপি রঙের বারান্দা, চিক দেওয়া জানালার এই হাওয়া মহল থেকে গোটা শহর দেখা যায়। হিন্দু রাজপুত পরিবারের নারীদের সম্মান ছিলো আলাদা সে সময়। স্বাধিনতা ছিলো অনেক বেশি । তাই মহল তৈরির উদ্দেশ্য ছিলো রাজ পরিবারের নারীদের বিনোদনের জন্য এই ভবন নির্মাণ করা । রাজমহীষীরা এই মহলেই নানা উৎসব-অনুষ্ঠান পালন করতেন । বাইরে পর্দা-নসিন হলেও । মহলের ভিতরে রানি ও রাজপরিবারের মহিলারা একেবারে স্বাধীন ছিলেন । পুরুষরা এই হাওয়া মহলে প্রবেশের অনুমতি পেতেন না। সাধারণ মানুষ বাইরে থেকে মহল দেখতে পেলেও ।ভিতরের কিছুই কিন্তু দেখতে পেতেন না। জানালায় বসানো চিকের কারণে মহলের নারীরা কিন্তু বাইরের জনজীবন দেখতে পেতেন । ঝারোখা বা চিকের মধ্য দিয়ে অনবরত বাতাস চলাচল করে মহলকে ঠান্ডা রাখত বলেই মহলের নাম হাওয়া মহল ।