পাগলাখালীর শিব মন্দির

schedule
2024-07-24 | 08:20h
update
2024-07-24 | 08:21h
person
kolkatarsomoy.com
domain
kolkatarsomoy.com

মনোরম পরিবেশে ও প্রাকৃতিক সুন্দর্যে সজ্জিত পাগলাখালী, পাগলা বাবার মন্দির , নদীর পাড়ের শান্তির সাথে অধ্যাতিকতা মন কে শান্ত করে দেয়। ওপর দিকের ধান আর সরিষা জমি মন্দিরের বাবার ভক্ত দের দেয় খোলামেলা গ্রাম্য পরিবেশের হাতছানি, কোনো লোক দেখানো আড়ম্বর নয়, কোনো সমাজের উঁচ নিচ নয় শুধু মনের শান্তি আর বাবার আশীর্বাদের সান্নিধ্য।পাগলা খালি শিব মন্দির । বাংলাদেশ বর্ডার। শিব নিবাস যাওয়া পথে এটাও দেখে আসতেই পারেন , এটা ও নদীয়া জেলায় অবস্থিত।মনোরম পরিবেশে ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সজ্জিত পাগলাখালী, পাগলা বাবার মন্দির , নদীর পাড়ের শান্তির সাথে অধ্যাতিকতা মন কে শান্ত করে দেয় যদিও নদী বলা ভুল হবে, কথা হলো বাওড়, তবে সেওতো নদীর ই অংশ । ওপর দিকের ধান আর সরিষা খেত। মন্দিরের বাবার ভক্ত দের দেয় খোলামেলা গ্রাম্য পরিবেশের হাতছানি, কোনো লোক দেখানো আড়ম্বর নয়, কোনো সমাজের উঁচ নিচ নয় শুধু মনের শান্তি আর বাবার আশীর্বাদের সান্নিধ্য। ।
আর পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে পলদা বাওড়,যে প্রতি মুহূর্তে মনে করিয়ে দেয় সে নদী ছিলো একালে, আজ শুধু স্রোত হারিয়েছে । যা পরিবেশটা আরো সুন্দর করে তুলেছে।পাগলাখালী একটি ছোট মন্দির , নদিয়া জেলার আমঝুপির কাছে পালদা নদীর বাওড়ের পশ্চিম তীরে অবস্থিত, পাগলা বাবার জন্য পরিচিত।
বছরের সব সময়ই ভক্তজনেদের ভিড় থাকে , তবে প্রচন্ড ভীড় হয় জ্যৈষ্ঠ মাসে, মাটিতে পা ফেলার জায়গা থাকে না ।
প্রচন্ড গ্রীষ্মের দাবদাহ এবং অসংখ্য মানুষের ভিড় সত্বেও জনসমাগম হয়।প্রত্যেকটা আখড়াতেই মহোৎসবের আয়োজন হয় , খিচুড়ি এবং পায়েসের। আসলে জৈষ্ঠ মাস এখানে খুব বড় মেলা হয়, তাছাড়া বারোমাসই এখানে মেলা থাকে ।এটি অনেকদিনের পুরনো শিব মন্দির. মানুষের বিশ্বাস এখানে মহাদেব থাকেন. সবাই বিশ্বাস করে এখানে পুজো দিলে মনের আশা পূরণ হয়.।
ব্রাহ্মণ্যবাদ, পুরোহিততন্ত্রকে সরিয়ে সর্বসাধারণের আরাধনার মন্দির — নদীয়া জেলার পাগলাখালি (আমঝুপি) । এখানে নিজের পূজা নিজেকে ই দিতে হয়।পোলদা বাওড় এর তীরে এই পাগলা বাবার মন্দিরটি সত্যি মনরোম পরিবেশ এর জন্য ভালো লাগবে।
চাপড়া ব্লকের মধ্যে পড়ে এই পঞ্চায়েত । পলদা নামক এক অনামি নদী ঘিরে রেখেছে এই পঞ্চায়েতকে ,স্থানীয় বাসিন্দারা পলদা বিল বললেও আসলে পলদা হলো একটি গতি থেমে যাওয়া নদী। ১৭৭৩১ জন জনঘনত্বের পঞ্চায়েত এলাকা বাগবেড়িয়া। পূর্ব দিকে আমঝুপি গ্ৰাম আর গ্ৰামের শেষে পাগলাখালী মন্দির যেখানে প্রতি সোমবার ও বৃহ:স্পতিবার মেলা বসে।
পাগলাখালী মন্দির আসলে শিবের মন্দির, পাগলা বাবা নামেই চেনে সবাই। পলদা নদীর পাশেই পাগলা বাবা অবস্থান করেন বটবৃক্ষের তলায়। পশ্চিমদিকে গাঁটরা গ্ৰাম পূর্ব নাম গান্ডীবনগর। এই গাঁটরার পুরোনো ইতিহাস আছে যা লিখিত আকারে পাওয়া যাবে না বললেই চলে। একদা বৈষ্ণব ধর্মের প্রধান প্রচারক নিত্যানন্দের শশুরবাড়ী ছিল গাঁটরা । এখনও সেখানে নিত্যানন্দ, বসুধা, জাহ্নবী দেব-দেবী রুপে পুজিত হন।
লোকজন কথায় এখানে বাবা ভোলা মহেশ্বরের পাথুরে লিঙ্গটি নিজ থেকেই সৃষ্টি। তবে গত কয়েক দশক ধরে এই পূজার্চনার ব্যাপক বিস্তার ঘটে। এখনে প্রতি সোম ও বৃহস্পতি বার কয়েক হাজার মানুষ আসেন এই জাগ্রত দেবতা কে তাদের পূজার্চনা করতে। এছাড়াও এখানে শৈব ও বৈষ্ণব সাধনা ও পূজা একই সাথে হয়। একটা অতিপ্রাচীন বটগাছকে বেড় দিয়ে একতলা মন্দির। লোক ডালি কিনে লাইন দিয়ে মন্দিরে ঢোকে বামুন ঠাকুর কিংবা পান্ডার প্রয়োজন নেই । মন্দিরের গাছের নিচটা গোল করে সিমেন্ট দিয়ে বাঁধানো। তার মধ্যে গাছের গোড়ায় মাটির অংশে কয়েকটি শিবলিঙ্গ, পিতলের দেবদেবী মূর্তি ফুলে ফুলে ঢাকা। বটগাছটির গোড়ায় গোল করে বিভিন্ন ধরনের মাটির হাতখানেক লম্বা লম্বা দেব দেবীর মূর্তি সাজানো। তবে পুজো হয় এই গাছ টায় আরও অনেক শিবলিঙ্গ আছে তার কারণ এগুলো এখানে অনেকে দান করেছে ।, পাশ দিয়ে বয়ে চলা পলদা স্নান করে পুজো দেয় মন্দিরে ভক্ত রা। ঠিক বারোটার সময় ঠাকুরের ভোগ দেয় দুটো থেকে আড়াই টের মধ্যে ভোগ দেওয়া হয়। শোনা যায় সন্ধ্যার পড়ে কোনো লোক থাকতে পারে না ।
মাজদিয়া রেল স্টেশনে থেকে পাগল খালি যাওয়ার পথ টিও প্রকৃতি সৌন্দর্যে ভরা।টোটোয় চড়ে বিস্তীর্ন সর্ষেফুল, ফুলকপি, বেগুন, শিম ভর্তি ক্ষেত আর রাস্তার দুধারে সারিসারি খেজুর গাছের মাঝখান দিয়ে চললাম ২৫ কিমি দূরের পাগলাখালি। সবচেয়ে আকর্ষণীয় প্রাকৃতিক জলাশয় “বাওড়” এর দেখা যায়। নদী তার নিম্ন গতিতে স্রোতের গতি হারিয়ে ফেলে। অথবা অন্য কোন প্রাকৃতিক কারণে গতি পথ পরিবর্তন করলেও নদী খাত ত্যাগ করে যায় । যাকে ভুগোল বই আমরা অশ্বক্ষুর আকৃতির হ্রদ বলি, দেশিয় ভাষা তাই বাওড়। আমার বন্ধু বান্ধব সুমন, তাপসদের মুখে এই বাওড়ের গল্প অনেক শুনেছি। টলটলে জলে ভর্তি সরোবর হয়ে গুলো ভালো পর্যটন কেন্দ্র হতে পারতো যত্নশীল পরিকল্পনা থাকলে। এমন একটি বাওড়, “পলদা”। এর আবার পাড়ে নৌকাও থাকে। নৌকায় চড়ে যায়।
আগেই বললাম বাওড় হল গাঙ্গেয় মৃতপ্রায় বদ্বীপ অঞ্চলে অবস্থিত নদীর পরিত্যক্ত বাহু, গঙ্গার উপনদী , শাখা নদী ছিলো এরা কোন কালে। একে অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদও বলা হয়ে থাকে যদি এটা আকৃতি নেয় ঘোড়ার ক্ষুরের মতো। বাংলায় গ্রাম অঞ্চলে বহুল পরিচিত বাঁওড় শব্দটি অনেকাংশেই বিল-এর সমার্থক পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা বেড়ি বাওড় কথাই আমি সুমন দের মুখে শুনেছি। পাঁচপোতার বেড়ি বাওড় নাম অনেকেই শুনে থাকবেন। বেড়ি বাওর ছাড়াও সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে ডুমোর বাওর, বলদেঘাটা বাওর, ঝাউডাঙা বাওর আছে।আছে ডুমা বাওড়,জিয়াল বিল,গোপালনগর বাওড়, ঘাট বাওড় এই বাংলায় ,চৈতি নদীকেও এখন বাওর বলা যেতেই পারে । ও বাংলা মানে বাংলাদেশে সাগরখালি, জালেশ্বর, ক্ষেদাপারা, রামপুর, পাঠানপাড়া, কাঠগড়া, যোগীনি ভাগীনি, ইছামতি, জয়দিয়া, মারজাত, হরিনা এবং আরিয়াল উল্লেখযোগ্য। আয়তনের দিক দিয়ে এগুলো অর্ধ-বর্গ কিমি থেকে ১৩ বর্গ কিমি পর্যন্ত।
তবে বিল-এর চাইতে বাঁওড় অধিক স্থিতিশীল এবং সাধারণত সারা বৎসর এগুলোতে পানি থাকে। বাঁওড় উৎপত্তির সাধারণ চিত্র হলো – নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হওয়ায় অথবা জলধারার কোন অংশের উৎসমুখ পলিকণা ইত্যাদি দিয়ে ভরাট হয়ে মূলধারা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় যে হ্রদ সৃষ্টি হয় তাকেই বাঁওড় বলে। মূল নদীতে যখন উঁচুমাত্রার বন্যা হয় কেবলমাত্র তখনই বাঁওড়গুলো বিপুল জলরাশি ভরে যায়। তবে সাধারণভাবে বর্ষার সময় স্থানীয় বৃষ্টির জল বাঁওড় এলাকায় এসে জমা হয় এবং এই সঞ্চিত জলরাশি কখনও কখনও আশেপাশের প্লাবনভূমিতে ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয়ভাবে বন্যার সৃষ্টি করতে পারে। অসংখ্য জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীর আবাসস্থল হিসেবে বাঁওড় জলাভূমির এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বাঁওড়-এর প্রান্তীয় এলাকার তুলনামূলক উঁচু জমি গুলো সাধারণত ধান চাষ এবং গো-চারণের জন্য ব্যবহূত হয়। এগুলোতে মিষ্টি জলের মাছ যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে, যেমন- শোল, ল্যাটা, মাগুর, শিঙি, কই, নয়না, পাকাল, গ্রাসকার্প, রুই, মৃগেল, কুচে,পুটি,খলসে, ইত্যাদি। এছাড়া জলচর পাখি যেমন- বক, পানকৌরি, শামুকখোল, বুনোহাস পাওয়া যায়। এই নদী সংলগ্ন বিল এ শীতকালে পরিযাই পাখি আসে। এ নিয়ে আরো গল্প হবে সুমন রা বলেছে, ওখানে একটা প্রাচীন কালি মন্দির আছে, হয়েছে একটা কৃষ্ণ মন্দির ও তাই একদিন যেতেই হবে গোবরডাঙা।
আপনি কিভাবে আসবেন পাগলা খালি??
শিয়ালদহ থেকে গেদে লাইনে মাজদিয়া নামতে হবে আসাননগর বা শিয়ালদহ থেকে কৃষ্ণনগর হয়ে বাসে আসাননগর । শিয়ালদহ থেকে ট্রেনে কৃষ্ণ নগর ।কৃষ্ণনগর থেকে পাগলা খালি ৩৫ কিমি দূরত্ব। কৃষ্ণনগর বাস স্ট্যান্ড থেকে রিজার্ভ গাড়িতে মাঝদিয়া রোড ধরে সাকদা মোড়ে গিয়ে বাম দিকে ঘুরে স্থানীয় মানুষকে গ্রামের পাকা পথের নির্দেশ জেনে পাগলা খালি বাবার ধাম (আমঝুপি) যেতে হবে।আমঝুপি গামী বাসে অথবা সাকদা মোড় থেকে অটোয় যাওয়া যায়। কৃষ্ণনগর থেকে মাজদিয়ার বাসে করে ,মাজদিয়াই নেমে অটোরিকশা বা টোটোতে করে যেতে হয় পাগলাখালি ।

Advertisement

Imprint
Responsible for the content:
kolkatarsomoy.com
Privacy & Terms of Use:
kolkatarsomoy.com
Mobile website via:
WordPress AMP Plugin
Last AMPHTML update:
06.01.2025 - 18:22:42
Privacy-Data & cookie usage: