বরিশাল সদর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে বানারীপাড়া উপজেলার গুঠিয়া ইউনিয়ন। কৃষিকাজের জন্য বেশ নাম আছে। ভোজনরসিক বাঙালী মিষ্টিপ্রেমীদের কাছে জায়গাটি পরিচিত সুস্বাদু গুঠিয়ার সন্দেশের জন্য’।
যদিও পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া থেকে সতীশ চন্দ্র দাস সন্দেশ তৈরির কৌশল শিখে আসছিলেন নামের এক মিষ্টান্ন কারিগর। পরে তিনি সেই অভিজ্ঞতা আর কিছুটা নিজের কৌশল দিয়ে তৈরি করেছিলেন এই গুঠিয়া সন্দেশ।
তিনি এই সন্দেশ,। তবে অঞ্চলের নাম অনুযায়ী এখন এই গুঠিয়ার সন্দেশ নামে পরিচিত হয়েছে । ব্রিটিশ আমলেই সতীশ ঘোষ প্রথম এ সন্দেশ তৈরির সূচনা করেন। বংশ পরম্পরায় সে ঐতিহ্য এখনো ধরে রেখেছে তাঁরা।তবে দারোগার হাট আর গুঠিয়া বাজারে এখন আরো অন্তত ১০টি মিষ্টির দোকানে বর্তমানে এ সন্দেশ পাওয়া যায়।
,
বাবুগঞ্জের মাধবপাশায় জমিদার বংশ আর প্রাচীন জনপদ চন্দ্রদ্বীপের রাজধানী হয়ে ওঠার সাথে কাহিনীর সাথেও নাকি এই সন্দেশের ঐতিহ্য ও সমৃদ্ধির সম্পর্ক রয়েছে। তবে সে ইতিহাস কোথাও লিপিবদ্ধ নেই।
আসলে সতীশ চন্দ্র দাস মিষ্টি তৈরির কৌশলের কিছু পরিবর্তন এনে, নিজের অভিজ্ঞতার সমন্বয় ঘটিয়েই তিনি ১৯৬২ সালে তৈরি করেন এই সন্দেশ।।
গুঠিয়ার সন্দেশ কড়াপাকের হওয়ায় কিছুটা শক্ত ও শুষ্ক অন্য সন্দেশের মতো নরম নয়।
৬-৭ কেজি গরুর দুধ দুধ থেকে তৈরি করতে হয় এক কেজি ছানা। সেই ছানার সাথে চিনি মিশিয়ে অল্প আঁচে জ্বালিয়ে নিতে হবে প্রায় ৩০ মিনিট ধরে ।৫ মিনিট মত সময় দিতে হবে মিশ্রণটি ঠান্ডা করলে তৈরি হয় গুঠিয়ার কাঁচামাল। এবার তাকে কাঠের পাটাতনে বেলে সন্দেশের আকার দিলেই তৈরি হয় গুঠিয়া। তাই গুনগত মান ধরে রাখতে এই সন্দেশের দাম হয় অনেক বেশি।