জানেন কি ত্রয়োদশ শতাব্দীতে পুরীর এই রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে একটা বিশেষ অসুবিধে ছিল। ওই সময় জগন্নাথ মন্দির ও গুন্ডিচা মন্দিরের মাঝে মালিনী নদী ছিল। পুরীর জগন্নাথ মন্দির থেকে রথযাত্রা শুরু হয়ে। সেই রথ এসে থামত মালিনী নদীর পাড়ে। তারপর সেখানে নৌকো থেকে সেই তিনটি বিগ্রহকে তিনটি নৌকোয় তুলে ওপারে নিয়ে আবার নতুন রথে করে নিয়ে যাওয়া হতো।
পুরীর রথযাত্রা কীভাবে শুরু হয়, সেটা নির্দিষ্ট করে কিছু বলা যায় না। কিছু ঐতিহাসিকের মতে, বৌদ্ধধর্মের ঐতিহ্যকে অনুসরণ করে জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা শুরু হয়েছিল। ঐতিহাসিক রাজেন্দ্রলাল মিত্র কথায় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরাই বুদ্ধদেবের মূর্তি রথে চড়িয়ে সেই রথ টেনে নিয়ে যেত। ফা-হিয়েন বর্ননায় দেখা যায় রথাযাত্রা চাক্ষুষ করেছেন। তিনি দেখেছেন, রথে বৌদ্ধমূর্তি বসানোর আগে ভুটানের রাজা সেই রথে জল ছিটিয়ে ঝাঁট দিয়ে পরিষ্কার করেছেন। যা পুরীতেও করা হয়।পশ্চিম চিনে এইরকম রথযাত্রা হত। বুদ্ধদেবের পাটলিপুত্রেও রথযাত্রার উৎসব দেখেছিলেন ফা-হিয়েন। আবার পুরী সমুদ্র তীরে রথযাত্রা উৎসব হত। মুরারী মিশ্রের ‘অনহর্গ রাঘব’ নাটকে এরকম তথ্য পাওয়া গেছে।