মঞ্চস্থ হল গত ১১ই ফেব্রুয়ারী,২০২৪, রবিবার, যোগেশ মাইম অ্যাকাডেমি তে। এইদিনে পূর্ণ প্রেক্ষাগৃহে দেখাতে সক্ষম হয়েছি, মূলত যারা ধর্মীয় বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে ভোট বৈতরণী পার হওয়ার চেষ্টা করছেন তাদের পরিণতি কি হতে চলেছে? ধর্মের নামে যে বা যারা মোহগ্রস্ত করতে করতে চাইছেন মানুষদের, সেই সকল মানুষেরা যখন রুখে দাঁড়াবেন, যখন বুঝে নিতে চাইবেন নিজেদের প্রাথমিক খাদ্য, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার অধিকার, তখন শাসকের পক্ষে এড়িয়ে চলা একটু অসুবিধা হবে বইকি। যে ঈশ্বরের নাম নিয়ে এত ধক্কানিনাদ, তিনি নিজেও ধর্মের পথে থেকেছেন চিরকাল, যিনি আর্ত -অসহায়ের, তিনি কি কারো একার হতে পারেন? তিনি তো সবার।
আমাদের ভারতবর্ষ, আমাদের বাংলা ধর্মনিরপেক্ষতায় বিস্বাস করে, সার্বভৌমতায় বিশ্বাস করে। যারা সেই বিশ্বাসে আঘাত হানতে চাইছেন, তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর প্রতিবাদ হিসেবে এই নাটক সামনে আসছে।
সমাজের প্রতিটা মানুষের কাছে এই বার্তা পৌঁছতে পারলে, আমরা মনে করব যে আমাদের নাটকের মঞ্চায়ন সার্থক হয়েছে। তারই অঙ্গ হিসেবে সেদিন প্রায় ২৫০ জন দর্শকের মিলিত করতালি কলাকুশলীদের উজ্জীবিত করেছে, ভবিষ্যতে আর এরকম সামাজিক বিষয় তুলে ধরার জন্য।উপস্থিত এক দর্শকের প্রতিক্রিয়া – ” অনেকদিন বাদে একটা সাহসী উপস্থাপনা দেখলাম কোনো নাট্যদলের। খুব ভালো লেখা। সংলাপ খুব স্মার্ট ও সমকালীন। মঞ্চে লাইট ও শব্দের ব্যবহার যথেষ্ট ভালো। মঞ্চ সজ্জার ক্ষেত্রে আরও একটু মনোযোগী হলে ভালো হয়। অভিনয় প্রায় প্রত্যেকেরই ভালো। কয়েকজনের অভিনয় অসাধারণ। নাটকের পরিচালকের পরিশ্রম ও প্রচেষ্টা চোখে পড়ার মতো। একইসাথে তার অভিনয় মনে থেকে যাবে বহুদিন। একজন থিয়েটার প্রেমী মানুষ হিসাবে বড়িশা নাট্য সংস্থার সকল সদস্য এবং নাটকের সাথে জড়িত সকল কলাকুশলীকে কুর্নিশ জানাই।