google-site-verification=r3lYzE3jI5XC8igrXRKdm9HAWALrzmx6coPmyeHNww4
Spread the love

টেরাকোটার কাজের কথা বলেই আমদের সাধানত, বীরভুম বাঁকুড়া কথা মনে পরে যায়। কিন্তু আমাদের ঘরের কাছে হুগলী জেলায় ও টৈরাকোটার কাজের অনুমতি নিদর্শন আছে। আজ তেমন এক নিদর্শনের কথা বলবো।আজও দাঁড়িয়ে ৪০০ বছরের ‘শিবকুঠি’, নীল চাষিদের হাহাকার নিয়ে হুগলি জেলায়। যদিও ঐতিহাসিক নিদর্শন আজ ধংসপ্রায় । হাঁ করে আছে এর দেয়ালের ইটগুলো। চুন সুরকির আস্তরণ সরে গিয়েছে , ছাদ ভেঙে পড়েছে । আগাছায় ভরে চারদিক, বাড়ির গায়ে গজিয়ে উঠেছে বট অশ্বথ। । পোড়োবাড়ি হয়ে গেলেও আজো এ বাড়ি দেওয়ালে দেওয়ালে টেরাকোটার কাজ স্পষ্ট তার উজ্জল অতীতের কথা মনে করায় । রয়েছে আরও হস্তশিল্পের ছোঁয়া এর আনাচে কানাচে। অবহেলায় ভগ্ন প্রায় দশা আজ শিবকুঠির। হারিয়ে যাচ্ছে ব প্রায় ৪০০ বছরের বালির ইতিহাস।

হুগলির জেলার গোঘাটের এই বালি এলাকায় এক সময় বাস করতেন মিশ্র পরিবার। মিশ্র পরিবার ইংরেজদের সময়ে জমিদারী ছিল । এই বংশের জমিদার শিব মিশ্র ও তার ভাই শংকর মিশ্র তৎকালীন সময় ইংরেজদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নীল চাষ শুরু করেন। এই বাড়ি থেকেই নীল চাষিদের নিয়ন্ত্রণ করা হতো। পরে ইংরেজরা এই অত্যচারী শিববাবুকেই দায়িত্ব দিয়ে এই এলাকা ছেড়ে চলে যায় । তার পর থেকে আরও বাড়ে তাঁর অত্যাচারের মাত্রা। এই বাড়ির প্রত্যেকটি ইট সেই অপশাসন ও শোষণের এক অভাবনীয় ইতিহাসের সাক্ষী ।
আজ জরাজীর্ণ ভগ্নপ্রায় শিবকুঠির (Shiv Kuthi)।
দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচার করার পর হঠাৎ করেই একদিনওই অত্যাচার পরিবার হারিয়ে যায় । কেউ জানেন না তাঁদের বর্তমান প্রজন্মের বেঁচে কিনা ।
শিববাবুর কুঠিরে স্থাপত্য এমন যা বর্তমানে দুষ্প্রাপ্য বলে । জমিদারদের নীল চাষ ছাড়াও বিভিন্ন ব্য়বসা ছিল । সেই বিপুল টাকা দিয়ে বানায় এই প্রাসদসম বাড়ি। বহুদিন সংস্কার না করায়, আজ নষ্ট হচ্ছে এই বাড়ি। হারিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় ঐতিহাসিক নিদর্শন টি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights