google-site-verification=r3lYzE3jI5XC8igrXRKdm9HAWALrzmx6coPmyeHNww4
Spread the love


কলমে- সুব্রত দেবরায়


আজ থেকে প্রায় চল্লিশ বছর আগের কথা। তখন আমি গ্র্যাজুয়েশন করছি, সম্ভবত থার্ড ইয়ার, এগার বার ক্লাসের বেশ কিছু ছাত্রকে আমি অংক শেখাতাম, আমার একটা নিয়ম ছিল যে শীতকালে এইসব পড়ুয়াদের নিয়ে আমি ঘুরতে যেতাম, এবং সবসময় যে সেটা বিনোদন মূলক ভ্রমন হত তেমনটা নয় বরং আমি তাদের উৎসাহিত করতাম ছোটখাটো অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিসমে, যেমন কোস্টাল ট্রেক অর্থাৎ সমুদ্রের পাড় ধরে হাঁটা। যাইহোক সেবার আমরা ছয় জন ছাত্র আর আমি মোট সাত জন ঠিক করেছিলাম যে দিঘার থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে, এখন যেটা তালসারি সৈকত বলে প্রসিদ্ধ তার থেকেও বেশ কিছুটা এগিয়ে একটা গ্রামীণ স্বাস্থকেন্দ্র ছিল, (যদিও এখন এলাকাটার নাম ঠিক মনে পড়ছেনা) সেই স্বাস্থকেন্দ্রের প্রধান ডাক্তার ছিলেন অনিমেষ নামের এক ছাত্রের মামা, আমাদের পরিকল্পনা ছিল ওনার কোয়ার্টার কে বেস ক্যাম্প করে চাঁদিপুর অব্দি আমরা কোস্টাল ট্রেক করব। সবাই ঠিক করলাম আটই ডিসেম্বার সকাল নটায় আমরা সবাই ধর্মতলা বাস স্টান্ডে মিলিত হব সেখান থেকে বাসে করে দিঘা যাব, সেখান থেকে অনিমেষের মামা আমাদের গাড়ি করে তাঁর কোয়ার্টারে নিয়ে যাবে। কিন্তু দুর্ভাগ্য, সাত তারিখ রাত তিনটের টের সময় আমাদের বাড়ির কেয়ারটেকার অবিবাহিত, নিঃসন্তান “দিনু জেঠু” আচমকাই হার্ট এ্যটাকে মারা যান। আমার বাবা এবং আমি এনারই কোলে পিঠে বড় হয়েছি। প্রসঙ্গত বলে রাখি প্রয়োজনে দিনু জেঠু আমার মাকে বা বাবাকেও শাসন করতে ছাড়তো না, কিন্তু ওনার ওপর কখন কাউকে উঁচু গলায় কথা বলতে শুনিনি। অবশেষে ঠিক হল যাবতীয় পারলৌকিক ক্রিয়াদি আমাকেই করতে হবে। ভীষণ দুশ্চিন্তায় পরে গেলাম, পরদিন সকালে ছেলেরা আশা করে, উৎসাহ নিয়ে ধর্মতলায় এসে অপেক্ষা করবে। কিন্তু আমি কি করব? বাবা কে গিয়ে সব বললাম, বাবা খুব উদার মনের মানুষ ছিলেন। সব শুনে বলল ”ঠিক আছে তোকে কাছা পরতে হবেনা, সকালে আমি কাউকে পাঠিয়ে তোর ছাত্রদের বাসে উঠিয়ে দেব, আর তুই বেলায় হাওড়া থেকে বাসে করে চলে যাস”। যাইহোক বাবা কথামত একজন কর্মচারীকে নির্দেশ দিয়ে দিল যাতে আমার ছাত্ররা ঠিকমত বাসে উঠে দিঘা অব্দি চলে যেতে পারে এবং তাদের হাতে বেশকিছু টাকা পয়সাও দিয়েছিল। শ্মশান থেকে আমাদের ফিরতে ফিরতে প্রায় বিকেল চার টে বেজে গেল। বাড়ি ফিরে স্নান খাওয়া সেরে ব্যাগ গুছিয়ে যখন হাওড়া বাস স্ট্যান্ডে এলাম তখন সন্ধে ছয় টা বেজে গেছে। দিঘা যাওয়ার শেষ বাসটা আর পনের মিনিটের মধ্যেই ছাড়বে। ড্রাইভারের কেবিনে একটা বসার জায়গা পেলাম। আগের দিন রাত থেকে এত পরিশ্রম গেছে যে বাস ছাড়তেই আমি গভীর ভাবে ঘুমিয়ে পরি। ঘুম ভাঙল কাঁথি তে এসে, কন্ডাক্টর এসে জাগিয়ে বলল “আপনি কিছু খবেন না”? আমি বাস থেকে নেমে মিষ্টি আর চা খেয়ে আবার বাসে উঠলাম আর কন্ডাক্টরকে বলে রাখলাম দিঘা আসলে আমায় ডেকে দিতে।
কন্ডাক্টারের ডাকে ঘুম ভাঙল, দেখি দিঘা এসে গেছে, ঘড়িতে দেখলাম প্রায় এগারোটা বাজে। বাসে অবশিষ্ট মাত্র আট দশ জন যাত্রী,তারা সবাই নেবে গেল। মনে রাখবেন আজ থেকে চল্লিশ বছর আগের দিঘা, তখন দিঘায় এত হোটেল, এত জাঁকজমক ছিলনা, তারপর শীতকাল, চারদিকে তাকিয়ে দেখলাম সব বন্ধ, একটাও গাড়ি দেখতে পেলাম না। একটু দূরে দেখলাম একটা মিষ্টির দোকানে টিমটিম করে আলো জ্বলছে, সেখানে কয়েকজন কারিগর পরের দিন সকালের জন্য সিঙ্গারা, নিমকি এই ধরনের খাবারের প্রস্তুতি নিচ্ছে, ওদের জিজ্ঞাসা করলাম কোন গাড়ি পাওয়া যাবে কিনা, সবাই বলল “এই শীতের রাতে কাউকে পাবেন না, আপনি কোন হোটেলে বা আমাদের দোকানে এই রাত টা কাটিয়ে দিন”। খুব চিন্তায় পড়ে গেলাম ছাত্রগুলো সব একা আছে ওরাও নিশ্চয়ই খুব চিন্তা করছে। যোগাযোগেরও কোন রাস্তা নেই। ঠিক করলাম এই আট দশ কিলোমিটার রাস্তা হেঁটেই পার করব, যদিও ওই মিষ্টির দোকানের সবাই বারণ করেছিল, কিন্তু কম বয়েস, শিকারি পরিবারের গরম রক্ত। কোন বারণ না শুনে, শুরু করলাম পদযাত্রা, তখন নিউ দিঘার কোন অস্তিত্বই ছিলনা এবং ওল্ড দিঘাতেও হোটেলের সংখ্যা ছিল হাতেগোনা। কিছুক্ষণ হাঁটার পরেই মুল দিঘা টাউনের সীমানা ছাড়িয়ে গেলাম, আমার বাঁ দিকে ঝাউ বন তারপর সমুদ্র, মধ্যে রাস্তা যেটা চলে গেছে উড়িষ্যার দিকে আর ডান দিকেও উঁচু বালিয়াড়ি, ঝাউবন আর অনেক দূরে আবছা আবছা কিছু কুঁড়ে ঘর। ডিসেম্বর মাস ঘন কুয়াশা যেন অনেকটা ইংরেজি ‘ভি’র মত রাস্তায় নেমে এসেছে, দূর থেকে ভেসে আসছে সমুদ্রের গর্জন আর ঝাউবনের সোঁ সোঁ আওয়াজ, একটু পরে খেয়াল করলাম আর কোন স্ট্রীট লাইট নেই। এবার একটু একটু অস্বস্তি হতে শুরু করল, সেটা ঠিক ভয় কি না জানিনা।( ক্রমশ……)
আরও খানিকটা এগোনর পর, দেখতে পেলাম দিঘা থানার সাইন বোর্ড, ভিতরে গিয়ে সব জানিয়ে বললাম যদি একটা গাড়ির ব্যবস্থা করা যায়, অফিসার জানাল তাদের একটাই জিপ আছে, আপৎ কালীন কোন ঘটনা ঘটলে তারা সমস্যায় পড়বে, কথাটা যথেষ্ট যুক্তি সঙ্গত। ওনারা বারন করেলেন বললেন “রাতটা থানায় থেকে যান, আপনাকে একটা চৌকি এনে দিচ্চি” কিন্তু কেমন একটা জেদ চেপে গেল, বারবার ভাবছি ছেলেগুলো কত না দুশ্চিন্তা করছে, হয়তো আমাকে না পেয়ে কাল সকালেই ওরা সব প্রোগ্রাম বাতিল করে কলকাতায় ফিরে আসবে। ভাবলাম যা থাকে কপালে, যে ভাবেই হোক ওদের কাছে পৌঁছেতেই হবে। থানা থেকে বেরিয়ে আবার হাঁটতে শুরু করলাম, এতক্ষণ যাও বা দূরে দূরে কিছু বসতি চোখে পড়ছিল , এরপর আর মনুষ্য সমাজের কোন চিন্হই চোখে পড়ছিল না। শুধুই ঘন কুয়াশা , সমুদ্রের গর্জন আর ঝাউবনের ভিতর দিয়ে বয়ে যাওয়া হাওয়ার শব্দ, আকাশে একটা আধফালি চাঁদ অন্ধকারকে যেন আরও গাঢ় করে এক অপার্থিব পরিবেশের সৃষ্টি করছে, আর আমি যেন কেমন একটা ঘোরের মধ্যে দিয়ে মন্ত্রমুগ্ধের মত হেঁটে চলেছি। এবার চোখে পড়ল ওড়িয়া ভাষায় লেখা মাইল ফলক, মানে ইতিমধ্যে বাঙলার সীমা্না ছাড়িয়ে আমি উড়িষ্যায় প্রবেশ করেছি। আচমকা একটা গাড়ির আওয়াজ শুনতে পেলাম, পিছনে ফিরে দেখি দুটো হেডলাইটের জোরাল আলো এগিয়ে আসছে, কিছুটা কাছে আসার পর বুঝতে পারলাম এটা ওই ম্যাটাডর ধরনের ছোট মালবাহী গাড়ী, আমি দু হাত তুলে প্রাণপণে গাড়িটাকে দাঁর করানোর চেষ্টা করলাম, গাড়িটা না দাঁড়িয়ে, কিছু একটা গালাগাল দিয়ে আরও স্পীড তুলে, প্রায় আমায় গা ঘেঁষে বেরিয়ে গেল। হয়ত আমাকে ভুত বা ডাকাত মনে করেছিল। এতটাই ঘন কুয়াশা যে দুহাত দুরেও কিছু নজরে পরছেনা, আমার র‍্যুকস্যাক থেকে টর্চ বার করে সেটার আলোয় রাস্তা দেখে হাঁটতে থাকলাম, বেড়ানোর আগে ম্যাপ দেখে (গুগুল ম্যাপ নয়) যতটা আন্দাজ করেছিলাম যে একটা জায়গায় রাস্তাটা টাউনের দিকে ঘুরে যাবে, কিন্তু সেটা যে কত দূরে, সে ধারনা আমার ছিলনা। এরপর আমার ডান দিকে শুধুই জঙ্গল। এখন যেটা “বিচিত্রপুর ম্যানগ্রোভ স্যাংচুয়ারি” বলে পরিচিত, সেটা ওই সময় অনেকটাই বিস্তৃত ছিল। আমার মনে হয় ওই জঙ্গলের পাশ দিয়েই আমি হাঁটছিলাম। জঙ্গলের ভিতর থেকে মাঝে মাঝে নিশাচর পাখিদের ডাক ভেসে আসছে, দূর থেকে মনে হচ্চে যেন কোন বাচ্চা কাঁদছে শুনেছি শকুনদের ডাক অনেকটা এইরকম হয়। ধিরে ধিরে মানসিক আর শারীরিক অবসন্নতা আমায় ঘিরে ধরছিল। জোর করে মজার কথা ভাবছিলাম, ইস যদি কেউ একবার এসে বলে “ পথিক তুমি কি পথ হারাইয়াছ”???। না সে সৌভাগ্য আমার হয়নি। বরং সম্মুখীন হয়েছিলাম এক চরম বিপদের। ( ক্রমশ………।)
বুঝতে পারছিলাম আমার ডান দিকে জঙ্গলের ঘনত্ব আরও বাড়ছে। হটাত শুনতে পেলাম একটা কুকুরের ডাক, আর তার ডাকে সাড়া দিয়ে আরও অনেক কুকুর জঙ্গলের ভিতর থেকে ডাকতে শুরু করল। শিরদাঁড়া দিয়ে যেন একটা ঠাণ্ডা স্রোত বয়ে গেল। কুকুর গুলোর ডাক ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছিল, বুঝতে পারছিলাম ওরা আমার দিকেই আসছে। এটাও বুঝতে পারছিলাম যে এরা লোকালয়ে ঘুরে বেড়ানো কুকুর নয়, তবে কি এরা জংলী কুকুরের দল ?? তাই যদি হয় তবে নিজেকে বাঁচানোর কোন সুযোগ আমি পাবনা। কারন এরা সবাই একসাথে আক্রমণ করে, বাঘও এদের এড়িয়ে চলে। দ্রুত সিধান্ত নিলাম, পালিয়ে বাঁচতে পারবনা, এই ধরনের অভিযানে কয়েকটা বিশেষ জিনিষ আমি সাথে রাখতাম, এবং সেটা বড়দের না জানিয়ে, তার মধ্যে একটি হল বিশেষ ধরনের একটা জাপানিস দুধার হান্টিং নাইফ, প্রায় ষোল ইঞ্চি লম্বা যার উপর একটা সিল্কের কাপড় পড়লেও দুই ফালি হয়ে যায়। রুকস্যাক থেকে চাকু টা বের করে হাতে নিলাম, আর রুকস্যাক টা পিঠ থেকে ঘুরিয়ে বুকের দিকে টাইট করে বেঁধে নিলাম যাতে সামনে থেকে আহত না হই, এটা অনেকটা বর্মের কাজ করবে। এই ধরনের রুকস্যাক গুলো পাহাড়ে ওঠার সময় নেওয়া হয়, এবং যথেষ্ট বড়, আমার কোমরের নিচ থেকে গলা অব্দি একটা গার্ড তৈরি হল। আর এইসব আমকে মিনিটের ভগ্নাংশেরও কম সময়ের মধ্যে করতে হয়েছিল। অতি ভয়ে বোধহয় মানুষের ভয়ের অনুভূতিটাও চলে যায়। আমি কুয়াশার ভিতর দিয়েও দেখতে পাচ্ছি প্রায় দশ বারোটা কুকুর আমার দিকে তেড়ে আসছে, আমার ভিতর সেই মুহূর্তে বোধহয় মহাকাল ভর করেছিল, আমিও পাগলের মত হুঙ্কার দিচ্ছি “ আয় আমি মরলে তোদের কয়েক টাকে মেরেই মরব”। একটা বড় গাছে পিঠ ঠেকিয়ে দাঁড়ালাম যাতে পিছন টা কিছুটা হলেও সুরক্ষিত রাখা যায়। এরপর যা ঘটল তার কোন ব্যাখ্যা আজও আমার কাছে নেই।
আমার ডানদিকে জঙ্গল যেদিক থেকে তেড়ে আসছে কুকুরের দল, আমি রাস্তার বাঁদিকে সেদিকেও জঙ্গল তবে অপেক্ষাকৃত হালকা ( রাস্তার যেদিকে মাইলস্টোন থাকে)। একহাতে পাঁচ সেলের টর্চ, আর এক হাতে সেই হান্টিং নাইফ, এবার আমি পরিস্কার দেখতে পাচ্ছি যমদূতের মত কুকুরগুলো প্রায় রাস্তার ওপর এসে পরেছে, আমি রাস্তার যে দিকে গাছে পিঠ দিয়ে দাঁড়িয়ে আছি সেই দিক থেকে (সমুদ্র যে দিকে) আর একটা কুকুরের ডাক শুনতে পেলাম। দেখলাম একটা বেশ বড়সড় কুকুর তীরের মত দৌড়ে তেড়ে গেল উল্টো দিকের কুকুরের দলটার দিকে, আমি বুঝতে পারছিনা কি হচ্ছে। এই একটা কুকুরকে দেখে উল্টো দিকের অতগুলো কুকুর কেমন যেন ভয় পেয়ে গেল, ওদের তর্জন গর্জন সব বন্ধ হয়ে গেল। এই একটা কুকুর সমানে ওদের দিকে মুখ করে গর্জন করে যাচ্ছে যেন ওদের কে দন্দ্বযুদ্ধে আহ্বান করছে। আমার মাথা কোন কাজ করছেনা ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে দেখলাম, ওই জংলী কুকুরের দলটা আস্তে আস্তে জঙ্গলের ভিতর ঢুকে গেল। আর এই একটা কুকুর জঙ্গলের দিকে মুখ করে বসে রইল যেন আমাকে বলছে “যা তুই এগিয়ে যা আমি এদের দেখছি”। ক্লান্ত অবসন্ন আমি, শেষ শারীরিক শক্তি টুকু নিয়ে আবার এগিয়ে চললাম, একটু পরেই শুনতে পেলাম একটা খড়খড় আওয়াজ যেটা আমার পিছন থেকে আসছে, ঘুরে দেখি সেই কুকুরটা যে আমায় বাঁচিয়েছিল সে আমার পিছন পিছন আসছে। এবার আমি ভাবছি এটা আবার পিছন থেকে ঝাঁপিয়ে পরবে না তো? এরপর কখন যে আমি লোকালয়ে ঢুকে গেছি নিজেরই খেয়াল নেই। মেন রাস্তার ওপরেই ছিল সেই গ্রামীণ স্বাস্থকেন্দ্র। দেখলাম গেটের বাইরে সবাই দাঁড়িয়ে আছে, সাথে গ্রামের আরও অনেক লোকজন, সবাই মিলে আমাকে খুঁজতে বেরোবে, কারণ আমার দেরি দেখে অনিমেষের মামা কোন ভাবে আমার বাড়ির সাথে যোগাযোগ করে জানতে পারে আমি দিঘার উদ্দেশে রওনা দিয়েছি কিন্তু তারপর আমার আর কোন খোঁজ নেই। একটা অদ্ভুত ব্যাপার লোকালয়ে ঢোকার আগে অব্দি আমি ওই কুকুরের পায়ের আওয়াজ পেয়েছিলাম। পরদিন একটা সাইকেল জোগাড় করে আমি অনেক খোঁজাখুঁজি করি কিন্তু ওই কুকুর টিকে আর দেখতে পাইনি। ( সমাপ্ত ………) (স্বত্ব সংরক্ষিত)

Verified by MonsterInsights