google-site-verification=r3lYzE3jI5XC8igrXRKdm9HAWALrzmx6coPmyeHNww4
Spread the love

বাংলার অন্যতম প্রাচীন মন্দির তারকেশ্বরের (Tarakeswar) এই মন্দির। প্রাচীন বাংলার চালা স্থাপত্যর নিদর্শন হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ এই মন্দিরের তারকেশ্বরের শিব লিঙ্গের একটা আলাদা মহিমা রয়েছে। কারন এটি স্বয়ংভু লিঙ্গ। তারকেশ্বরের শিবলিঙ্গ কেউ স্থাপন করেননি। যুক্তি গঙ্গার পলল ভূমিকে অমন পাথর মেলাও মুশকিল। এখানে শিব স্বয়ং আবির্ভূত হয়েছিলেন বলে মনে করা হয়। তাই তারকেশ্বরের শিবলিঙ্গকে বলা হয় স্বয়ম্ভূলিঙ্গ।
এছাড়া মন্দিরের সামনের পুকুরটিকেও অত্যন্ত পবিত্র মনে করা হয়।এই পুকুরের নাম দুধ পুকুর।লোক বিশ্বাস এই জলেরও একটা আলাদা মহিমা রয়েছে বলে তারকেশ্বর এত জনপ্রিয়। তবে শ্রাবণ মাসের প্রতি সোমবারে প্রচুর মানুষ ভিড় করেন এখানে। শ্রাবণ মাসের প্রতি সোমবারেই এখান বিশেষ পূজা ও উৎসবের আয়োজন হয়।
আসলে প্রচলিত বিশ্বাস এটি ভগবান শিবের (Lord Shiva) জন্ম মাস । সোমবার মহাদেবের প্রিয় বার।মানা হয়, তাই শ্রাবণ মাসের এই সোমবার গুলিতে শিবের আরাধনা করলে, মহাদেবের আশীর্বাদ থেকে কখনই বঞ্চিত হবেন না।
এছাড়া পুরাণ মতে সমুদ্র মন্থনে ওঠা হলাহল নামে এক বিষ উঠেছিল। এই শ্রাবণ মাসেই পান করেছিলেন ভগবান শিব সেই বিষ পান করেন। এই প্রচণ্ড বিষ পান করে তাঁর সারা শরীর নীল হয়ে গিয়েছিল। আমরা জানি মহাদেবের কন্ঠ নীল হয়ে গেছে বলেই তাঁর আর এক নাম নীলকণ্ঠ।আর এই কারণে মহাদেবকে শ্রাবণ মাসে দুধ অথবা জল ঢেলে পুজো করেন ভক্তরা। শ্রাবণ মাসের সোমবারগুলিতে উপবাস রেখে শিবলিঙ্গের মাথায় দুধ অথবা জল ঢালার হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights